অনুবাদ মিডিয়া দেস্তান ভলিউম ১৮ বাংলা সাবটাইটেল –

ভলিউম নিচে
এপনপর উজির ও উলেমারা একত্রিত হয়ে সুলতান ইব্রাহিমের কাছে
উপস্থিত হয়। রুমেলির বিচারক ইব্রাহিমকে জানিয়ে দেয়, “আমার সুলতান,
উলেমা এবং প্রধান কর্তাব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনাকে সিংহাসন ত্যাগ
করতে হবে ।”
ইবাহিম চিৎকার করে উঠেন, “বিশ্বাসঘাতক! আমি কি তোমার সুলতান
নই? এর অর্থ কী?
মুফতি সাহসের সাথে উত্তর দেয়, “আপনি আর সুলতান নন।
ন্যায়বিচার আর পবিব্রতাকে পদদলিত করে আপনি পৃথিবী ধ্বংস করেছেন।
রাজকোষ অপচয় করেছেন। আপনার বদলে দুর্নীতি আর নিষ্ঠুরতাই পৃথিবী
শীসন করেছেন ।”
এর পরেও কেন তিনি সিংহাসন ছাড়বেন, এর উত্তরে ইব্রাহিমকে জানানো
হয় যে, পূর্বপুরুষদের দেখানো পথে না চলে ইব্রাহিম নিজেই এ পদের
অযোগ্য করে তুলেছে নিজেকে ।
এরপর আবারো এই ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাক্যবান বর্ষণ করে
ইব্রাহিম, একে তার ভাগ্যলিপি ও ঈশ্বরের ইচ্ছা হিসেবে মেনে নিয়ে
সেরাগলিওর কারাগারে গমন করে।
তার পরেও তার ভাগ্য-নিষ্পত্তির জন্য বিদ্রোহী সিপাহিরা চিৎকার করে
উঠলে প্রধান উজির ও অন্যান্যরা মুফতির কাছ থেকে ইব্রাহিমকে হত্যার জন্য
ফতোয়া দাবি করে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরে মুফতি বলে ওঠে, “হ্যা। ইসলামি আইনানুসারে যদি দুজন
খলিফা থাকে, একজনকে মেরে ফেলো। মুফতি ও প্রধান উজির ইব্রাহিমের
কক্ষে হত্যাকারী পাঠায় । বিচারকেরা জানালা দিয়ে দেখতে পায় কোরআন
পাঠরত ইব্রাহিমকে। এরপর প্রধান ঘাতক যে কিনা তার আদেশ পালন করত
কোনো একসময়, ইব্রাহিম বলে উঠেন, “এমন কেউ কি নেই যে কিনা আমার
রুটি খেয়েছে আর আমার ওপর দয়া দেখিয়ে আমাকে নিরাপত্তা দেবে? এরা
আমাকে হত্যা করতে এসেছে। দয়া করো! দয়া করো!” এরপর অভিশাপ আর
শাপ-শাপান্ত করতে থাকেন ইব্রাহিম ।
এভাবে ১৬৪৮ সালে অটোমান ইতিহাসে দ্বিতীয়বার রাজহত্যার ঘটনা
ঘটে। দ্বিতীয়বারের মতো একটি শিশুকে সিংহাসনে বসানো হয়। কিন্ত এই
সংকটের সময় এ সিদ্ধান্ত সাম্রাজ্যের জন্য সত্য হিসেবে প্রতিপাদ্য হয়।
ফিরে পায়। উলেমার কণ্ঠ ধার করে মুসলিম প্রতিষ্ঠানসমূহ ধর্মের নামে
আইনগত কাঠামো নিশ্চিত করে। প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পূর্ণভাবে রাষ্ট্রের
সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণে কাজ করা শুরু করে ।
অসাধারণ সব প্রধান উজিরদের উন্মেষ ঘটে সঠিক সময়ে । একটি নির্দিষ্ট
কপরুলাস পরিবার থেকে আগত উজিরদের এই বংশ বালক সুলতানকে
প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য পরিচালনায় সাহায্য করতে থাকে।
ধর্মীয় এবং নৈর্ব্যক্তিক, উভয় মৌলিক প্রতিষ্ঠান মিলে মিশে পুনরায়
সফলভাবে অটোমান রাষ্ট্রে আত্যন্তরীণ স্থিরতা প্রতিষ্ঠিত করে। সতেরো
শতকের বাকি সময়টুকু জুড়ে অটোমান ধ্বংস এভাবে রুখে দেয়া সম্ভব হয়।
এবং সাম্রাজ্য পুনরায় শক্তি ও সমদ্ধির পথে ধাবিত হয়।
শেষ মহান অটোমান সুপতান সুলেমাণেন মৃত্ুম পর প্রায় এক শতাব্দীর
কাছাকাছি সময় কেটে গেছে। দেশে এ সময় বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে
দিন কেটেছে। ইউরোপের জন্য এ সময়ে কোনো অটোমান অভিযান ঘটেনি ।
কিন্তু একইভাবে অটোমানরাও কোনরূপ হুমকির মাঝে পড়েনি।
কেননা ইউরোপ নিজেই এ সময় ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত ছিল; এ সময়ে
এসে নতুন করে খরিস্টান শক্তির সাথে এক ধরনের সমঝোতার প্রয়োজন হয়ে
পড়ে তুর্কিদের । এর চিহ ছিল নিশ্চিতভাবে ১৬০৬ সালে স্বাক্ষরিত “শুধু৪িঞাড 01
511510791 অটোমান ও হাবসবুর্গপ সাম্রাজ্যের মাঝে ।”
পূর্বে এ ধরনের চুক্তি সুলতান মঞ্্ুর করতেন শুধু নিজের সুবিধামতো এবং
নিজের শত্রুর প্রতি এক ধরনের অনুষ্বহস্বরূপ। এতে তার শক্র এমনকি ইস্তান্ুলে
দূত পাঠাতে বাধ্য হতো। পূর্বে খ্রিস্টান সম্রাটদের সাথে করা চুক্তিসমূহ শুরু
হতো এভাবে “চিরবিজয়ী সুলতান অনুগহপূর্বক অন্তর্ভুক্ত করছেন, পরাজিত ও
অবিশ্বাসী ভিয়েনার রাজার প্রতি। এবারই প্রথমবারের মতো দুই শক্তির মাঝে
সমতার চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। স্পষ্ট করে লেখা হয়, “সম্রাট এবং সুলতান”
সমান ব্যবহার পাবে ।” পূর্বে সুলতান হাবসর্ুপ সমতটকে মামুলিভাবে “স্পেনের
রাজা” হিসেবে বিবেচনা করতেন।
এখন ইউরোপের সাধারণ কূটনৈতিক
ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে সমান মর্যাদা দিয়ে কাইজার উপাধি মেনে
নিয়েছেন। এখন আর কোনো প্রজাসতৃ রইল না। অস্ট্রিয়া পূর্বে যে বার্ষিক কর
প্রদান করত সুলতানকে তা রহিত করে, সীমিত অর্থ একবারে প্রদান ও পরে
তা দূতদের মাঝে ইচ্ছাকৃত উহার আদান-প্রদানে পরিণত হয়।
এই চুক্তি অন্যান্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির তুলনায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য
হয়েছিল। ভূখণ্ডের মাঝে আরলাভ, গ্রান ও কানিসা দুর্ণ তুর্কিরা রাখে।
হাঙ্গেরিতে অটোমান শাসিত অঞ্চলসমূহও রাখা হয়। কিন্তু পুরাতন হাঙ্গেরিতে
করপ্রাপ্তির অংশ ছেড়ে দেয় তুর্কিরা। এমনকি ট্রানসিলভানিয়ার রাজকুমার
অনেকাংশেই দাসতৃমুক্তি লাভ করে। অটোমান সেনাবাহিনীর প্রতি
অবমাননাস্বরূপ এ চুক্তির মাধ্যমে পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে নতুন কুটনৈতিক
সম্পর্কের সূচনা হয়।
আন্তর্জাতিক আইনের নীতি ও সনদের কাছে আনুগত্য
স্বীকার করে তুর্কিরা। এছাড়া অটোমান অভিযানের সীমাবদ্ধতা ও হাবসবুর্গ
শক্তির স্বীকৃতি জানায় তুর্কিরা । পূর্বে সুলতানের প্রজা হিসেবে বিভিন্ন গোল্রীয়
বা ধর্মীয় সম্প্রদায় নির্দিষ্ট হারে শুল্ক প্রদানের মাধ্যমে অর্ধ-্থায়ত্তশাসনের
মর্যাদা ভোগ করত । এ রীতিতে বিদেশি শক্তিদেরকেও আলিঙজন করা শুরু
হয়। বিশেষ করে বণিকদেরকে ।