কুরুলুস উসমান ভলিউম ৯৮ বাংলা সাবটাইটেল অনুবাদ মিডিয়া

ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান
কুরুলুস উসমান ভলিউম ৯৮ বাংলা সাবটাইটেল
স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে আভ্যন্তরীণ দাঙ্গা সত্তেও গ্রিকেরা সফল হয়েছিল বলা চলে। কেননা ১৮২৫ সালে সুলতান স্বয়ং একাকী গ্রিকদের পরাজিত করতে নিজের অপূর্ণতা বোধ করেন। নিজের এশিয়ার প্রদেশসমূহ থেকে সৈন্য নিয়োগে ব্যর্থ হয়ে সুলতান মিশরের পাশা মাহমুদ আলীর সহায়তা কামনা করেন। নেপোলিয়নের সময় থেকেই আলীর সেনাবাহিনী পশ্চিমা কায়দায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর বিনিময়ে ক্রিট ও পেলোপনেসিয়ার পাশা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রতিজ্ঞা করা হয় আলীর কাছে অন্যদিকে আলী নিজে সিরিয়ার পাশা হওয়ার মনোবাসনা পোষণ করত।
মাহমুদের পুত্র ইব্রাহিম পাশা তাই আলেকজান্দ্রিয়া থেকে নৌবাহিনী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এ বাহিনী ছিল ভূমধ্যসাগরে অ-ইউরোপীয় বাহিনীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। মোরিয়ার সর্ব দক্ষিণে মোদন বন্দরে পৌছায় ইবাহিম বাহিনী। এভাবে শুরু হয় গ্রিক স্বাধীনতার দ্বিতীয় পর্যায়। তিন বছরের মাঝে সুশৃঙ্খল বাহিনী তুর্কি নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনে এ অঞ্চলে। এর ফলে গ্িকদের মাঝে একতার বোধ জেগে ওঠে। কোলোকোটরনসৃকে মুক্তি দিয়ে মোরিয়ার প্রধান কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। এরপর ১৮২৬ সালে ইব্রাহিম পাশা তার বাহিনী নিয়ে মেসোলঙ্খি অবরোধে নিযুক্ত তুর্কি কমান্ডার রাশিদ পাশাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়৷
এখানে ইব্রাহিম পাশার নৌবাহিনী ঘটনার গতি পরিবর্তন করে ফেলে । গ্রিক রসদবাহী রণতরীকে বন্দরে ভিড়তে বাধা দিয়ে দুর্গবাসী গ্রিক জনগণকে প্রতিরোধে উত্তেজিত করে তোলে । কিন্তু এ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।ঘটে ও আরো একবার গৃহযুদ্ধ বেধে যায়। এর পূর্বে দুজন দক্ষ ব্রিটিশ অফিসার স্যার রিচার্ড চার্চ, একজন আইরিশ ও লর্ড কোচরান, একজন স্কটকে যথাক্রমে পরিচালনার জন্য আমন্ত্রণ দেয়া হয়। নিজেদের কাজের শর্ত হিসেবে দুই প্রতিদ্ন্বী অংশের পুনর্মিলন দাবি করে ব্রিটিশদ্বয়। এর ফলে নতুন সংবিধানের আওতায় জাতীয় সংসদ থেকে কাপোডিস্টরিয়াকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদে নির্বাচিত করা হয়। ইতিমধ্যে রাশিদ পাশা আযাথেন্স অবরোধ করে ও ১৮২৭ সালের জুন মাসে এর দুর্গ তুর্কিদের হাতে আসে । এভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রায় সমাপ্তি ঘণ্টাই বেজে ওঠে।
কিন্তু এটি সমাপ্তি ছিল না। ছয় বছরব্যাপী রক্তগঙ্গার পর ইউরোপীয় শক্তিসমূহ অবশেষে আক্রমণে উদ্যত হয়। এদের মাঝে রাশিয়া তুর্কিদের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগে সক্রিয় হয়ে ওঠে। অস্ট্রিয়া বিদ্বোহের দমন আশা করে। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড ঘটনাক্রমে আবারো রাশিয়া ও তুর্কিদের মাঝে যুদ্ধের ভয়ে ভীত হয়ে ওঠে। পোর্তেতে আসে হেলেনিক মতধারানুসারী বিটিশ কূটনীতিক স্ট্যাটফোর্ড ক্যানিং। ইবাহিম পাশার কর্মকাণ্ডে উদ্দিগ্ন হয়ে ওঠে ইংরেজরা । কেননা
বিরোচিত ভাবমূর্তির উন্মেষ ঘটায়।
তাই পশ্চিমা শক্তিসমূহের প্রথম দায়িত্ব হয়ে দীড়ায় গ্রীসের ভবিষ্যৎ সীমানা ও মর্যাদা স্থির করা। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৮২৬ সালে সেন্ট পিটারসবার্গে ব্রিটেন ও রাশিয়া, তুকি ও গ্রিকদের মাঝে রক্তবন্যা একমত্যে পৌছায়। ঠিক স্বাধীনতা নয়, কিন্তু সুলতানকে বার্ষিক কর প্রদানের বিনিময়ে নিজেদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার পাবে থ্রিকরা ।
এই বছরের শরতে গ্রিকরা এই প্রটোকলে ফ্রান্সকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়। ক্যানিংয়ের প্রচেষ্টায় যে কিনা কিছুদিন পরেই মৃত্যুবরণ করে ১৮২৭ সালের জুলাই মাসে “লন্ডনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়; এথেন্সের পতনের এক মাস পর। এই চুক্তি অনুযায়ী ত্রিশক্তি পোর্তের কাছে মধ্যস্থতার প্রস্তাব করে। এই শর্ত প্রত্যাখিত হলে ব্রিশক্তির ক্ষমতা থাকবে গ্রিসের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার। প্রতিনিধি প্রেরণ ও বিদ্বোহী প্রদেশসমূহকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি জানাবে পশ্চিমা শক্তি। গ্রিস এসব মেনে নিলেও সুলতান প্রত্যাখ্যান করেন। একরোখাভাবে বাস্তবতাকে অস্বীকার করে নিজের সার্বভৌম অধিকারের ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ বলে ঘোষণা করেন সুলতান ।
এছাড়াও চুক্তিতে যুদ্ধ বিরতি ও সংঘর্ষ ঠেকানোর জন্য যৌথ রণতরীর কথা বলা হয়! এ উপলক্ষে তিন পক্ষের আ্যাডমিরাল-সহযোগে রাশিয়া ভূমধ্যসাগরে রণতরী প্রেরণ করে। কিন্তু ইব্রাহিম পাশা সুলতানের নির্দেশ ব্যতীত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিধায় পড়ে যায় যৌথ বাহিনী। অবশেষে নাভারিনোতে পৌছে নিজেদের মাঝে একমত হয় আযাডমিরালগণ যে, তুর্কিরা প্রথমে আক্রমণ না করলে তারা শুরু করবে না। এবার ইব্রাহিম পাশা যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয় ও পাল উঠিয়ে আলেকজান্দ্রিয়ায় ফিরে যায়।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রতিনিধিদের বহনকারী একটি খোলা নৌকায় গুলি করে বসে মিশরীয় জাহাজ। ফ্রান্স পতাকাবাহী জাহাজ তৎক্ষণাৎ রাইফেল দিয়ে এর উত্তর দেয়ার পর বৃহৎ আকারের নৌবাহিনী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইব্রাহিমের রণতরী ধ্বংস হয়ে যায়। লেপান্তোর যুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্যের ওপর সবচেয়ে ভয়ানক নৌ-আক্রমণ ছিল এটি । রাশিয়া ও ফ্রান্স এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়৷ অন্যদিকে ডিউক অব ক্ল্যারেন্স ভেবিষ্যৎ রাজা চতুর্থ উইলিয়াম) ব্রিটিশ আ্যাডমিরালকে পুরস্কৃত করে। থ্বিকরা অবশেষে মুক্তির আনন্দে বিজয়ী হয়ে ওঠে।
নির্বাচনের পর থেকেই জাতীয় সংসদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে কাপোদিস্টিয়া ইউরোপের রাজধানীসমূহ ভ্রমণ করছিলেন সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে। ১৮২৮ সালের শুরুতে নপলিয়া ফিরে এসে দায়িতৃ বুঝে নিয়ে শাস্তি প্রতিষ্ঠায় কাজে লেগে যায়।
ইংরেজরা মাহমুদ আলীর কাছ থেকে ইব্রাহিম বাহিনীর প্রত্যাহার নিশ্চিত করে। যারা এতদিনেও রয়ে গিয়েছিল অবশেষে মোরিয়ার রাজধানী আক্রমণের পর ফরাসি বাহিনীর আক্রমণে পিছু হটে যায়। এরপর শাস্তি প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে রাশিয়া ও তুরস্ক নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
কুরুলুস উসমান ভলিউম ৯৮ বাংলা সাবটাইটেল