দেস্তান ভলিউম ২৭ বাংলা সাবটাইটেল অনুবাদ মিডিয়া

ভলিউম দেখতে নিচে যান
এর পরিপ্রেক্ষিতে মোরিয়ার দুর্ঘসমূহের প্রতিরক্ষা নাজুক থাকায় গ্রিক বিন্রোহীরা দখল করে নেয়। যুগপত্ভাবে সমুদ্র উপকূলের গুরুতৃপূর্ণ বন্দরসমূহ দখল করে নেয় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন গ্রিক জাহাজসমূহ। এর মাধ্যমে পার্বত্যঞ্চল ও গেরিলা সমৃদ্ধ ভূখণ্ডে তুর্কিদের কাছে সৈন্য ও রসদ পাঠানোর ক্ষেত্রে যোগাযোগব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। দ্বীপসমূহের মাঝে বিদ্রোহীরা স্পেটসাই-_এখানে ধনী এক গ্রিক বিধবা ব্যক্তিগতভাবে ও নিজের অর্থে নপলিয়া উপসাগর অবরোধ করে-_এরপর সারা ও তারপর হিদ্রা। পুরো উপদ্বীপজুড়ে বিদ্রোহের জনপ্রিয় সংগীত “মোরিয়াতে একজনও তুর্কি রবে না” এর কারণে সমস্ত মুসলিমই হত্যাযজ্ঞের স্বিকার হয়।
পশ্চিমে ভয়ংকর বিদ্বোহে মেসোলোজ্ঘি ফেটে পড়ে। উত্তরে মেসিডোনিয়ার উপদ্ীপেও বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়লে মাউন্ট আযাথসের সন্নযাসীরাও হাতে অস্ত্র তুলে নেয়। ক্রীটে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে ধর্মান্ধ ক্রেটান মুসলিম খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। হয়। এর ফলে পার্বত্যাঞ্চলের স্প্যাকিয়ানরা যুদ্ধচেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ক্যানিয়া বন্দর দখলে রাখে গ্রিক রণতরীর সহায়তায় ।
সুলতান মাহমুদ তার শাসন লঙ্ঘনকারীদের অব্যাহতি দেওয়ার মতো মানুষ ছিলেন না। সেনাবাহিনী বিদ্রোহের প্রাথমিক বিস্ময়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠার পর মোরিয়াজুড়ে তুর্কি হত্যার জন্য গ্রিকদের ওপর ভয়ানক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সুলতান। ইস্তান্ুলে পোর্তেসহ অন্যান্য গুরুতৃপূর্ণ জায়গার গ্রিক দোভাবীদের হত্যার আদেশ দেন সুলতান। ইস্টার সানডের দিনে প্রাসাদের গেটে ঝুলিয়ে মোরিয়া গ্রিক যাজককে হত্যা করা হয়। এরপর তিন দিন প্রদর্শিত হওয়ার পর জিউদের দিয়ে দেয়া হয় টেনে নিয়ে সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার জন্য ।
কিয়সের আগে তুর্কি পতাকাবাহী জাহাজকে, আাডমিরাল ও নাবিকসহ ধ্বংস করে দেয় গ্রিক বিদ্রোহী রণতরী । এর প্রতিশোধে তুর্কিরা পুরো সমুদ্র দ্বীপটিকে তছনছ করে দেয়। দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ার পর বা বিদেশে পালিয়ে যেতে
বাধ্য করে প্রায় কয়েকশ হাজার খিস্টানকে। এরপর করিস্থের বিদ্রোহ দমনে সফল হলেও মোরিয়াতে আক্রমণ করতে ব্যর্থ হয় তুর্কি বাহিনী ।
কিন্তু গ্রীকেরা সামরিকভাবে একত্রিত হয়ে সুযোগ গ্রহণের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়ে স্থানীয় সরকার গঠনে। প্রতিটি দখলকৃত অঞ্চলে সংসদ আহ্বান করা হয়-_মেসেনিয়াতে সেনেট, পেলোপনিসে “কেন্দ্রীয় সরকার” ও পূর্ব ও পশ্চিম রুমেলিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরকার নিয়োগ করা হয়। এদের প্রতিদ্বন্বী হিসেবে উন্মেষ ঘটে জমিদার, গির্জার নেতা, দ্বীপ বণিক, ক্লিফেটস্; যারা নিজেরাই আইন তৈরি করত। তাদের মাঝে একতা ছিল এক অলীক উচ্চাশা । তখনো পর্যত্ত জাতি হিসেবে গ্রিক ভাবতে পারত না নিজেদের ।
ত্রিপোলী পতনের পর কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে সবার স্বার্থকে একই সুতোয় বাধার চেষ্টা করা হয়। ১৮২২ সালে বছর শুরুর দিনটিতে প্রজাতান্ত্রিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে একটি সংবিধান গঠন করা হয়। আলেকজান্ডার মাভরোকরডাটোসের বেশির ভাগ অংশ প্রস্তত করে। তাকে প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু একটি জনগোষ্ঠী যারা শতকের পর শতক ধরে প্রাচ্য দেশীয় শাসনের অধীনে রয়েছেঃ তার ওপরে আবার নিজেদের সম্প্রদায়ের প্রতি বিশ্বস্ত;১ এরকম পশ্চিমা স্বাধীন সংবিধানের পরীক্ষা তারা কিছুটা অপ্রাপ্তবয়ক্ক ছিল বলা চলে।
খুব শীঘ্রই এটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে একজন গ্রিক কখনো অন্য আরেকজন শ্রীকের প্রভূত্ মেনে নেবে না। ফলাফল বাকি রইল পশ্চিমা কোনো রাজকুমারকে শাসক হিসেবে খুঁজে নেওয়া । প্রথম দিন থেকেই থিকরা পশ্চিমা সমর্থনের প্রতি বেশি আশাবাদী ছিল। কিন্ত সামরিকভাবে তাদের হতাশ হতে হয় খুব অল্প সময়ের মাঝেই। নেপোলিয়নের পরাজয়ের পর রাশিয়াসহ পশ্চিমা শক্তিসমূহ শান্তি খুঁজছিল। প্রায় এক দশকজুড়ে এই বিপ্রব-বিরোধ “প্রভুদের লীগ” নিজেদের মাঝে
একতা ধরে রেখেছিল। তাই ব্রিটেন, রাশিয়া বা অস্ট্রিয়া কেউই, গ্রিক জাতীয়তাবাদে সমর্থন দিতে প্রস্তুত ছিল না। ১৮২২ সালে এই তিন রাষ্ট্র এক সম্মেলনে গ্রিক প্রতিনিধি নিতে অস্বীকার জ্ঞাপন করে ।
পশ্চিমা ইউরোপের রাজধানীসমূহ ও রাশিয়ার মাধ্যমে গ্রিক বণিক সম্প্রদায় হেলেনিক বার্তা পৌছে দেয় বাণিজ্যিক বিশ্বের কাছে। সুস্পষ্টভাবে
বলতে গেলে যৌথভাবে তারা বিপ্লবের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করে। আসে। আবার একই সাথে ইউরোপ আমেরিকা থেকে তরুণ অভিযাত্রীরা নিজেদের সরকারকে অমান্য করে স্বেচ্ছায় গ্রিকদের সাথে যুদ্ধ করতে আসতে থাকে। উইলিয়াম কবেট বিদ্বূপাত্বক মন্তব্যে বলেছেন, “গ্রিক বিপ্লব ঘটিয়ে কবিরাও শেয়ার-চাকরি প্রার্থীরা, রাশিয়ার সুবিধার্থে ।”
কবিদের মাঝে অসাধারণ ছিলেন যিনি গ্রিকদের সাথে সমর্থন দিয়েছিলেন–লর্ড বায়রন, ১৮০৯ সালে প্রথমবারের মতো গ্রিস বেড়াতে এসে
মুগ্ধ হয়ে পদ্যের অমরত্ব দান করেছেন একে । লব্ডনে গ্রিক কমিটি থেকে ছয় সংখ্যাবিশিষ্ট আর্থিক সাহায্য পেতেও সহায়তা করেন তিনি ।
বিদ্বোহীদের মাঝে একতার অভাব গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ১৮২৪ সালে বায়রন যখন গ্রিক মূল ভূখণ্ডে পৌছান, দেখতে পান গ্রিকরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে নতুন এক পেলোপনেসিয়ান যুদ্ধে
কবি বায়রনের তাৎক্ষণিক দায়িত্ব হয় এসব বিতর্ক প্রশমন করা । আর এই কাজে তিনি ক্ষণিক সময়ের জন্য হলেও সফলতা লাভ করেন। তার নির্দেশানুযায়ী ফান্ডের অর্থ কনডোরায়োটিসকে প্রদান করা হয়। কোলোকোটরনস নিজের শেয়ারের বিনিময়ে নপলিয়া সমর্পণ করে। কিন্তু কয়েক মাস পর গৃহযুদ্ধ আবারো অনিবার্ধ হয়ে পড়ে। কোলোকোর্টারসকে বন্দি ও হিদ্রাতে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ইংরেজদের খণ তুর্কিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে ব্যয় না হয়ে গ্রীকের সাথে থিকের ছন্দে অপচয় হয়। এর সংগ্রাহক লর্ড বায়রন অবশ্য নিজের প্রচেষ্টার অপমৃত্যু দেখে যাননি। মেসোলজ্ঘিতে ম্যালেরিয়া জুরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন কবি। কিন্তু প্রিকদের মাঝে বীর ও শহীদের সম্মানে আসীন আছেন তিনি। তার মৃত্যু ইউরোপে গ্রিক জাতির উন্মেষ ও স্বীকৃতির আশা জাগিয়ে রাখে।
দেস্তান ভলিউম ২৭ বাংলা সাবটাইটেল অনুবাদ মিডিয়া